একটি সূর্যমুখীগাছ ৬ থেকে ১০ ফুট লম্বা হয়। কয়েকটি প্রজাতি ১২ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায়ও পৌঁছায়। কিন্তু তাই বলে ৩০ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার সূর্যমুখীগাছ! উচ্চতার দিক দিয়ে গাছটি অনানুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব রেকর্ড ভেঙেছে।যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানার ফোর্ট ওয়েইন শহরের বাসিন্দা অ্যালেক্স বাবিচের বাড়ির আঙিনায় বেড়ে উঠেছে এই বিশাল আকৃতির সূর্যমুখীগাছ।অ্যালেক্স মূলত যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড ভাঙতে, এই রেকর্ডে নিজের নাম লেখাতে চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। এই লক্ষ্যে গত বছরও তিনি একটি সূর্যমুখীগাছ রোপণ করেছিলেন। যত্নআত্তি করে গাছটিকে বড় করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গাছটি রেকর্ড ভাঙতে পারেনি।
হাল না ছেড়ে এ বছর অ্যালেক্স নতুন উদ্যমে কাজে লেগে পড়েন। সম্প্রতি ২৬ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতায় পৌঁছে তাঁর গাছটি যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড ভেঙে দেয়। গাছটির উচ্চতা এখনো বাড়ছে।অ্যালেক্স তাঁর সূর্যমুখীগাছটির নাম দিয়েছেন ‘ক্লোভার’। ‘ব্লুম’ নামের একটি তথ্যচিত্রে অ্যালেক্সের এই প্রচেষ্টা তুলে ধরা হয়েছে। তথ্যচিত্রটির নির্মাতারা গত সপ্তাহে আবার অ্যালেক্সের বাড়িতে গিয়ে ক্লোভারের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ভাঙার দৃশ্য ধারণ করেন।গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ এখন ক্লোভারের উচ্চতা যাচাই করবে, যাতে গাছটিকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া যায়।
বর্তমানে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে থাকা সবচেয়ে উঁচু সূর্যমুখীগাছের উচ্চতা ৩০ ফুট ১ ইঞ্চি। ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট জার্মানির এক ব্যক্তি রেকর্ডটি গড়েন। তবে ক্লোভার ইতিমধ্যে এই উচ্চতা ছাপিয়ে গেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষা।
কাঠবিড়ালের আক্রমণ থেকে ক্লোভারকে রক্ষায় ফোর্ট ওয়েইন শহরের কর্তৃপক্ষ অ্যালেক্সকে সহায়তা দিয়েছে।অ্যালেক্স বলেন, ‘আমরা ৩০ বছর ধরে এখানে আছি। আমরা ফোর্ট ওয়েইনকে খুবই ভালোবাসি। এখানে আমাদের অনেক বন্ধু ও স্বজন আছে। আর এই শহরের সবাই সহযোগিতা করে। এটা সত্যিই দারুণ। সত্যি বলতে, সবার সহায়তাই আমাদের এই কাজে অনুপ্রাণিত করেছে।’